জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন হল শিক্ষা । শিক্ষার প্রথম এবং প্রধান কাজ হল পরিবেশের সাথে শিক্ষার্থীর সংগতি বিধান করা । শিক্ষা অর্জনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই । তাই মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সে ভূমিকা নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে । উত্তরাঞ্চল তথা সমগ্র বাংলাদেশে যে কয়টি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে,মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয় নিঃসন্দেহে তাদের অন্যতম । সু-প্রসিদ্ধ কাটারী ভোগ চাল আরত রসাল লিচুর জেলা । সেই জেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে পুনর্ভবা নদী । এই নদীর প্রায় ছয় কিলোমিটার পুর্বে সমান্তরাল ভাবে বহমান ছিল গর্ভেশ্বরী নদী । কালের বিবর্তনে যা আজ মরা নদীর রূপ নিয়েছে । এই দুই নদীর মাঝখানে গড়ে উঠেছিল একটি বন্দর নগরী । আর এই শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এক মনোরম পরিবেশে এই বিদ্যালয়টি অবস্থিত ।

"শিক্ষা হলো আলো, জ্ঞানের উজ্জ্বল আলো, যা আমাদের জীবনে প্রজন্মের উন্নতি এবং সমাজের সুধারণে প্রথম পথ প্রদর্শন করে। আমরা শিক্ষার মাধ্যমে নতুন দিনের প্রথম আলোকিত পথে অগ্রসর হতে পারি, এবং এই উজ্জ্বল পথে আমাদের শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের নেতৃত্বক্ষম নাগরিক হিসেবে সমর্থ করতে পারি। আমরা শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞানের আলো জাগিয়ে, সমস্যা সমাধানে উপস্থিত হতে সমর্থ করি, এবং মানবিক মূল্যগুলির প্রতি সদয় আগ্রহ জাগিয়ে দেই। আমরা যেসব ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে নতুন আলো বিশ্বের আকাশে এনে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার দিকে চলতে চাই, তাদের সাথে সাথে এই পথে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করে নেই। আমরা একটি সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি অসীম সম্পন্ন জীবনের নির্মাতা তৈরি করতে সাহায্য করি। এই স্কুল একটি শিক্ষার মন্দির, একটি জ্ঞানের উজ্জ্বল অগ্নিকুণ্ড, এবং আমাদের ভবিষ্যতের শুভ আলোকের উত্তরণ ক্ষেত্র। আমরা গর্বিত এবং নির্ভরশীল, এবং এই সফল পথে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা এই সমৃদ্ধ সমাজে একজন ভাল নাগরিক হিসেবে আমাদের দেশের উন্নতির দিকে যাচ্ছি।"